টাঙ্গুয়ার হাওড় হচ্ছে এমনি একটি
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জায়গা, যা
নাদেখলে
আপনি বিশ্বাসই করতে পারবেন না যে কত রকমের সৌন্দর্য লুকিয়ে আছেসেখানে। দিগন্ত
বিস্তৃত বিশাল হাওর, বিশাল
জলরাশি, কিন্তু তা নদী বাসমুদ্রের মতো নয়,
অন্য রকমের এক সৌন্দর্য।
যেভাবে যাবেনঃ
-ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ শ্যামলী, ইউনিক ও এনা পরিবহণ যাত্রী সেবা দিয়ে
থাকে।
-সুনামগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে সাহেববাজার
ঘাট পর্যন্ত রিকশায় যাবেন।
-সাহেববাজার ঘাট থেকে টাঙ্গুয়া হাওরের
উদ্দেশ্যে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভাড়ারব্যবস্থা আছে। এছাড়াও স্পীডবোট এ আপনি
সাহেববাজার থেকে টাঙ্গুয়া যেতেপারেন। সেক্ষেত্রে ইঞ্জিন বোটে খরচ হয় ২,০০০/- থেকে ২,৫০০/- টাকাপক্ষান্তরে স্পীড বোডে খরচ হয় ৭,৫০০/- থেকে ৮,০০০/-
টাকা। থাকার ব্যবস্থা বেসরকারি ভাবে টাঙ্গুয়ার হাওরে রাতে
থাকার মতো কোনও হোটেল নেই। তবে সরকারীব্যবস্থাপনায় ৩ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে
টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্পেররেস্ট হাউজে থাকা যায়। হাওর ঘুরে রাতে
তাহিরপুর থানার ডাকবাংলোতে থাকতেপারেন কি কি দেখবেন? ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির বিচরণ, আকাশে ওড়াউড়ি, কিচির-মিচির শব্দ, টলটলে
স্বচ্ছ পানিতে মাছের দৌড়ঝাঁপ, সাজানো
শ্যাওলা যেনসাগর
তলার বাগান। মাঝে-মাঝে হিজল বন, জসীমউদ্দীনের
কথা মনে করিয়ে দেয়।হাওরের সঙ্গেই হেলান দিয়ে আছে বিশাল শিলং, মেঘালয়ের পাহাড়। সাঁতারের লোভ তোসামলাতেই পারবেন না।
কী নেই সেখানে! সংক্ষেপে এটা হতে পারে বাংলাদেশেরদ্বিতীয় সুন্দরবন। কিন্তু এর মজাটা
সুন্দরবনের চেয়েও আলাদা। কেউ যদি এইকর্মব্যস্ত জীবনে কয়েক দিনের জন্য রুটিন
থেকে বেড়িয়ে আসতে চান, চান
একটুমুক্ত
বাতাস, দিগন্ত বিস্তৃত আকাশ,
চলে আসুন এখানে। দেশ বিদেশেরমানুষের কাছে আমাদের দেশের সৌন্দর্য
ছড়িয়ে দিতে এসব পোস্ট শেয়ার করারঅনুরোধ থাকলো, সবাই দেখুক ও জানুক কি আছে এই দেশে ।
No comments:
Post a Comment